জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, অকুতোভয় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুল হকের রণাঙ্গনের সম্মুখ যুদ্ধের সর্বাগ্রবর্তী ভুমিকার ভুয়সী প্রশংসার পাশাপাশি উদ্বিগ্ন ছিলেন যুদ্ধকালীন আহত অবস্থার চিকিৎসা সেবার ও ওনার ফেলে আসা পরিবারের সর্বশেষ অবস্থার। তার চিকিৎসাকালীন সার্বক্ষনিক তদারকি ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আওয়ামীলীগ নেতা কোরবান আলীকে ভারতে প্রেরণ করেন। আশ্বস্ত করেন পরিবারের সকল দায়িত্ব বহনের, স্বাধীন দেশে সুস্থ হয়ে বীরের বেশে দেখতে চাওয়ার আহবানে বঙ্গবন্ধু চিঠি লেখেন চিকিৎসাধীন মাইনুল হককে।
পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জার্মানিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে যুদ্ধাহত মাইনুল হককে পাশাপাশি তার পরিবারকে ওনার সর্বশেষ অবস্থান ও চিকিৎসার বিশদ জানিয়ে আওয়ামীলীগের তৎকালীন দপ্তর সম্পাদক জনাব আনোয়ার চৌধুরী চিঠি লিখে জানান মাইনুল হকের পিতাকে। জার্মানিতে চিকিৎসাধীন থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী এবং আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান হাসপাতালে গিয়ে যুদ্ধাহত মাইনুল হককে দেখতে যান।
এভাবেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেশের বীর সন্তান মাইনুল হক এবং পরিবারকে তার দূরদর্শিতা, ভালোবাসা ও প্রজ্ঞা দিয়ে আগলে রেখেছিলেন ৭৫ সালের ভয়াল ১৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত। বাঙালি জাতির বীর সেনানী এই মুক্তিযোদ্ধাও এতিম হয়ে যান জাতির জনকের অকাল প্রস্থানে।